সরকারি কর্মসূচির ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার, আ.লীগ নেতা আটক
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া পুলিশ ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। শেরপুরে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এ চালের বস্তা গুলো ট্রাকে করে যাচ্ছিল। কিন্তু এই চালগুলো পাচার করা হচ্ছিল। পাচারের ও কালোবাজারে বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোলাম মোস্তফা (৫৫) নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামের সড়ক থেকে চালগুলো উদ্ধার ও গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়। আটককৃত গোলাম মোস্তফা উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আতাহার আলী মুন্সীর ছেলে। বর্তমানে শহরের খন্দকারপাড়াস্থ এলাকার বাসিন্দা। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
মামলায় গোলাম মোস্তফাসহ খামারকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) একই ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে শাহ জামাল স্বপন (৪৫), মাগুড়াতাইর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫০), গাড়ীদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর বাবু (৩৮) ও শহরের হাটখোলা এলাকার হযরত আলীর ছেলে নজরুল ইসলামকে (৪২) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পরে সরকারি গুদামের সিলমোহর যুক্ত বস্তায় তোলা ৩০ কেজি ওজনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৯ বস্তা চালবোঝাই দুটি ভটভটি (নসিমন) আটক করা হয়। চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) শাহজামাল স্বপনের গোডাউন থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে শহরের হাটখোলা এলাকার টিসিবির পরিবেশক (ডিলার) নজরুল ইসলামের গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরপর সরকারি চালগুলো উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এ সময় গোলাম মোস্তফা চালগুলো নিজের দাবি করে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। পরবর্তীতে তাকে আটক করা হয়।